টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। এতে বাচ্চুর স্ত্রী-সন্তানসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাচ্চু ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ছেলে শেখ রাফা হাই, শেখ ছাবিদ হাই অনিক। এ ছাড়া আবদুল হাই বাচ্চুর ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও আমিন আহমেদ নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় কেনা হলেও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এর দাম দুটি দলিলে মাত্র ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্য দেখান। অবশিষ্ট ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আসামি শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী, ভাই ও সন্তানদের নামে হস্তান্তর স্থানান্তর রূপান্তরের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ গোপন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, আসামি আমিন আহমেদ শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর অবৈধ অর্থ বৈধতা প্রদানে সরাসরি সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া এর মাধ্যমে আসামি শেখ আবদুল হাই বাচ্চু সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব ও ফাঁকি দিয়েছেন।
এর আগে গত ১২ জুন বাচ্চুর বিরুদ্ধে বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় চার্জশিট দেয়। দুদকের দায়ের করা ৫৯টি মামলার মধ্যে ৫৮টিতেই আসামি করা হয় ব্যাংকটির সাবেক এই চেয়ারম্যানকে।