হোম > সারা দেশ > ঢাকা

টোল প্লাজায় নিহত ৬: বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না, চালকের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটি ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল দুপুরে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজার সামনে। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক মোহাম্মদ নুরউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাব জানিয়েছে, বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না, চালকের লাইসেন্স ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।

আজ শনিবার বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসচালক আত্মগোপনে সিদ্ধিরগঞ্জ লুকিয়ে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, চালক মোহাম্মদ নুরউদ্দীন ১০ বছর ধরে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। সেই লাইসেন্স দিয়েই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না।

২৭ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ১০টার দিকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে পটুয়াখালী যাচ্ছিল বেপারী পরিবহনের বাসটি। চালক ছিলেন নুরউদ্দীন। যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। দ্রুত চালাচ্ছিলেন। সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর ৪৫ মিনিটের মধ্যে তিনি ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় পৌঁছান। সেখানে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজায় অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে চাপা দেন। এতে একই পরিবারের চারজনসহ দুটি গাড়ির ছয় আরোহী নিহত ও চারজন আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই পাঁচজন ও বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।

নিহতরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।

আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলম (৪২), তাঁর বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় নুরউদ্দীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা।

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে

মণিপুরীদের জীবনধারার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সময় বাড়ল

চীন নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেলেন ২৯ সাংবাদিক

গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনে হামলা পরিকল্পিত মতাদর্শিক সন্ত্রাস: আনু মুহাম্মদ

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৩, ডিআরইউর মানববন্ধন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ৩০০ ফুটে নেতা-কর্মীদের ভিড়

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

হাদি হত্যা: ফয়সালকে সীমান্তে আত্মগোপনে সহায়তাকারী ৫ দিনের রিমান্ডে