টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌর এলাকায় নড়বড়ে বাঁশের খুঁটি আর গাছ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সড়কের পাশ দিয়ে গাছ ও বাঁশের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। ফলে জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচাবাজারসংলগ্ন এলাকার হাজারো মানুষের।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচাবাজারের পশ্চিম পাশে হজরত শাহ কামাল (রহ.) সড়ক ঘেঁষে বসানো হয়েছে ১১ হাজার কেভি ভোল্টেজের ট্রান্সফরমার। বৈদ্যুতিক খুঁটি না বসিয়ে ট্রান্সফরমার থেকে শুধু বাঁশের খুঁটিতে তার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৩০-২৫০ ভোল্টেজের এলটি লাইন (লো-টেনশন লাইন)। ওই লাইনের অধিকাংশ জায়গায় তারের ভারে বাঁশগুলো হেলে পড়েছে। কোথাও কোথাও ওই হেলে পড়া বাঁশকে অন্য বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম হান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যুতের খুঁটির জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু বৈদ্যুতিক খুঁটির ব্যবস্থা না করে কর্তৃপক্ষ বাঁশের খুঁটিতে সংযোগ দিয়েছেন। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে দেখছি এভাবেই চলছে।’
শরীফুল ইসলাম হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘আজব খুঁটিতে দাঁড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার। যতবারই খুঁটির কথা বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষ শুধু অপেক্ষা করতে বলেছেন। দ্রুতই খুঁটি স্থাপন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটি আজও বসানো হয়নি।’
গৃহবধূ লাকি ও পপি আক্তার বলেন, ‘পৌর শহরের আবাসিক এলাকার গাছকেও খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং বিদ্যুৎ বিভাগের চরম গাফিলতি। দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এই গাছ ও বাঁশের খুঁটিগুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সখীপুরের (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বর্তমানে খুঁটি বসানোর যাবতীয় কাজ প্রজেক্টের মাধ্যমে করা হয়। এরই মধ্যে সরবরাহকৃত লাইনে খুঁটি স্থাপনের জন্য একটি প্রজেক্টের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে দেরি করছে। তবে ওই লাইনের ড্রয়িং সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত খুঁটি বসানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’