ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের প্রতিবাদ জানিয়ে ৪ দফা দাবি তুলে ধরেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পিসিসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত নাম বাতিল করা, পরিচালনা কমিটিতে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছয় সদস্য মনোনয়নের বিধান বাতিল করা; উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে পিসিসিপির সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পাহাড়ি-বাঙালির আশা ছিল। কিন্তু কিছু উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এই প্রত্যাশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তিনি বলেন, গত ২৩ জুন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ করার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া নতুন অধ্যাদেশে ছয় সদস্যের পরিচালনা কমিটির সবাইকে কেবল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়।
পিসিসিপির ঢাকা মহানগর সভাপতি রাসেল মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে আসছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। বিভিন্ন মহল পার্বত্য অঞ্চলকে পর্যটনমুখী না করে জনশূন্য করে রাখতে চাইছে। তারা সেখানে শিল্প-কারখানা হতে দিচ্ছে না; যা হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতো। গুচ্ছগ্রামে তিন বছর থাকার কথা বলে আজ ৩৫ বছর ধরে সেখানকার মানুষ অবহেলার শিকার।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান প্রমুখ।