আর দশটা দিনের মতোই চিত্র দেশের প্রধান রেলস্টেশন কমলাপুরে। হুইসেল দিয়ে ট্রেন থামছে, নামার জন্য উদ্গ্রীব যাত্রীরা। লাল জামা পরে ছোটাছুটি কুলিদের। তবে পার্থক্য শুধু পুলিশ আর গোয়েন্দা (ডিবি) জ্যাকেট পরিহিত কয়েকটি দলের নজরদারিতে। সন্দেহ হলেই তাঁকে তল্লাশি করছেন ডিবি সদস্যরা।
আসছে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল বুধবার থেকেই কড়াকড়ি শুরু হয়েছে কমলাপুরে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় তল্লাশি।
সিলেট থেকে আসা এক তরুণকে তল্লাশি করছিলেন ডিবি সদস্যরা। তাঁর চোখমুখে রাজ্যের বিরক্তি। সাংবাদিক দেখে বললেন, ‘কী একটা অবস্থা!’
রেলওয়ে ডিবির পরিদর্শক আবু সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে আমাদের নজরদারি বেড়েছে। ট্রেন আসার পরে আমাদের সদস্যরা সন্দেহভাজনদের চেক করছেন। এটা কয়েক দিন চলবে।’
রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের চারটি টিম ভাগ হয়ে কাজ করছে।’
গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির অনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপি এক কর্মী নিহত হন। তারপর থেকেই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
গতকাল থেকেই কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এই সড়কে কোনো যানবাহন চলছে না। সরকারি চাকরিজীবীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে তারপর চলাচলের অনুমতি পাচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তালা।