রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গালফ এয়ারের পাইলট ক্যাপ্টেন মোহান্নাদ ইউসুফ আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর বোন তালা এলহেনডি।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এলহেনডি তাঁর আইনজীবী নিয়ে গুলশান থানায় এজাহার দায়েরের জন্য গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি। ওই রাতেই তালা এলহেনডি জোসেফানো বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালা এলহেনডির আইনজীবী মহুয়া মোর্শেদ।
আজ বুধবার সকালে আইনজীবী মহুয়া মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনাইটেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গালফ এয়ারের পাইলট ক্যাপ্টেন মোহান্নাদ ইউসুফ আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা নেয়নি। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী ও গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নিউটন দাস ঘটনা গুরুতর উল্লেখ করে আমাদের কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। কোর্ট থেকে থানায় এফআইআর করতে বললে তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলে জানান।’
মহুয়া আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তালা এলহেনডি জোসেফানো বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। ওই ঘটনায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা শিগগিরই আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গণমাধ্যমকে অবহিত করব।’
এলহেনডি মনে করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা না নিতে পুলিশকে প্রভাবিত করেছে। পুলিশ তাঁর ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে হাসপাতালকে সাহায্য করছে।
মামলার এজাহারের আবেদনে এলহেনডি লিখেছিলেন, ‘করোনা মহামারির সময় রোগীদের দগ্ধ করার কারণে এই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছিল। এটি পরিষ্কার যে তারা চিকিৎসাসেবার মতো মহান দায়িত্ব পালনের অযোগ্য। এই হাসপাতালটিতে আমার ভাইয়ের প্রাণহানির ঘটনাই শেষ না। চিকিৎসা অবহেলায় তাদের অতীত ইতিহাস আছে। কাজেই তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রচলিত, যথাযথ ফৌজদারি কার্যবিধি ও দণ্ডবিধি আইনে আমি আমার ভাইয়ের ঠান্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাচ্ছি।’
এলহেনডি আরও লিখেছেন, ‘আমি গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে নিয়মিত ইউনাইটেড হাসপাতালে যাতায়াত করে ওই হাসপাতালের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজ ও চিকিৎসার যাবতীয় তথ্যাদি চাইলে, তারা দিনের পর দিন কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং পরবর্তী সময় কোনো প্রকার তথ্য প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়। যার প্রেক্ষিতে আমি নিজে তদন্ত করে এই মামলার প্রাথমিক তথ্য উদ্ঘাটন করি।’