জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম (শিমুল) ও তাঁর স্ত্রী ফারহানা রহমানের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (২ জুন) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত মোট ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অপর মামলাটি করা হয়েছে শেখ রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা রহমানের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, যা তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছ, স্বামীর পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগে শিমুলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।