নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে নিহত সুরুজের ছেলে মুন্না আহমেদ এ মামলা করেন। মামলায় সালাহউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হীরা নামের দুজনসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে বাপ্পী ও জামাল নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ। এ দিন বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া।
সুরুজ মিয়া সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের উত্তর কাশিপুর এলাকায় সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন চারজন। আহত ব্যক্তিরা হলেন সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।
নিহতের পরিবারের দাবি, সুরুজ মিয়ার সঙ্গে অটোরিকশা ও ইট বালুর ব্যবসা নিয়ে সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সঙ্গে বিরোধ ছিল। সালু ও হিরা সম্প্রতি স্থানীয় একটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে তাদের কাছ থেকে ইট বালু সিমেন্ট নেওয়ার কথা জানায়। সেসময় ভবন মালিক সুরুজ মিয়াকে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের দুজনকে শাসন করেন। এর জের ধরেই গত বৃহস্পতিবার সুরুজ মিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।