সড়ক ও ফুটপাতে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে গুলিস্তান এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে গত সপ্তাহে হকার উচ্ছেদের ঘোষণা দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ঘোষণা অনুযায়ী গত রোববার উচ্ছেদ অভিযানও চালায় ডিএসসিসি। তবে অভিযানের পরদিন থেকেই আবার সেখানে হকাররা বসে যান।
আজ মঙ্গলবার আবারও একই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণা দেয় ডিএসসিসি। এদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভিযানে গেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার হকাররা।
হকারদের দাবি, আগে পুনর্বাসন নিশ্চিত না করে তাদের উচ্ছেদ করা হলে তারা কোথাও যাবেন না। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, এরই মধ্যে হকারদের পুনর্বাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু হকার্স কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করা হয়েছে।
অভিযানের সময় বিক্ষোভ করে হকাররা বলেন, ‘কোথাও পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করাটা আমরা মেনে নেব না। এই অভিযান বন্ধ করতে হবে।’
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসিম কবির বলেন, ‘আমরা শুনেছি হকারদের জন্য মেয়র সাহেব একটি মার্কেট করছেন। উনি বলেছেন ওখানে নাকি হকারদের জায়গা দেওয়া হবে। আমরা বলতে চাই, আপনারটা হবে নগদ আর আমাদেরটা হবে বাকি। এটা আমরা মেনে নেব না।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা মার্কেট করবেন সেখানে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। এই লম্বা সময়টা আমাদের হকাররা কোথায় যাবে? আগে আমাদের ব্যবস্থা করবেন, তারপর আমরা জায়গা ছাড়ব।’
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা জলি তালুকদার বলেন, ‘আমাদের গায়ের জোরে তুলে দেওয়া হলে আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়ক ও ফুটপাত ব্যবহারকারীদের জন্য ফুটপাতে হকার উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র। একই সঙ্গে হকারদের পুনর্বাসনেরও উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন হকারদের একটা অংশ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবারের অভিযান প্রসঙ্গে মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দুপুরে বৃষ্টির কারণে অভিযান বন্ধ রেখেছিলাম। এরপর বিকেল থেকে অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক অস্থায়ী দোকান অপসারণ করেছি। এ ছাড়া এরপর থেকে হকাররা যাতে উচ্ছেদ করা জায়গাতে আবার বসতে না পারে তার জন্য আমাদের অভিযান টিমের সার্বক্ষণিক তদারকি রাখব আমরা।’