মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বর্ধমানকান্দি গ্রামের একটি ভুট্টা খেতের মাটির নিচ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস বের হচ্ছে। সেচযন্ত্র স্থাপনে করতে গিয়ে গত দেড় সপ্তাহ এর সন্ধান পান স্থানীয় এক ভুট্টাখেতের মালিক। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। উৎসুক জনতা এটি দেখতে ভিড় করছেন।
এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ধমানকান্দি গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে সেচযন্ত্রের জন্য স্থাপিত লোহার পাইপের পাশে মাটির ভেতর থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। সেখানে সরু পাইপ লাগিয়ে দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই জ্বলে উঠছে আগুন।
জমির মালিক ইদ্রিস আলী প্রধান জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সেচযন্ত্র স্থাপনের জন্য মাটির নিচে লোহার পাইপ প্রতি স্থাপনকালে গ্যাস বের হতে দেখা যায়। পরে সেখানে চিকন পাইপ স্থাপন করে ওপরে দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই আগুন জ্বলতে থাকে। বিষয়টি পড়ে জানাজানি হয়। গত দেড় সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত এভাবেই গ্যাস বের হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। শুরুতে গ্যাসের চাপ কম থাকলেও ক্রমাগত তা বাড়ছে বলে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে ইউএনও জাহিদুর রহমান বলেন, ‘মাটির নিচ থেকে গ্যাস নিঃসরণের বিষয়টি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিতভাবে জানালে তিনি বিষয়টি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে অবহিত করেন। পাশাপাশি ওই এলাকার নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে গত সপ্তাহে বাপেক্সের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে এসে গ্যাস নিঃসরণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষণ দলের প্রধান বাপেক্সের ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গ্যাসের চাপ কম থাকায় তা যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া এটি বায়ুজনিত গ্যাস বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো এখনো তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’