হোম > সারা দেশ > ফরিদপুর

সালথায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়টি বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকেরা রয়েছেন। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ওই এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ছাড়া দুপরের কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। দুজনেই বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। এর মধ্যে সাহিদুজ্জামান আগে অবিভক্ত নগরকান্দা (সালথা ও নগরকান্দা) উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

বিভিন্ন সময়ে হামিদ ও সাহিদের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন বলে দাবি হামিদের লোকজনের।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকেলে পেঁয়াজের খেত দেখতে বাড়িতে আসেন হামিদ। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকেরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকেরা। পরে গ্রামের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে পাঁচ-ছয়টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সাহিদুজ্জামান সাহিদ নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় না দিয়ে বিএনপিপন্থী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন আর দলপাল্লা করি না। প্রথমে হামিদের লোকজন মাঠের ভেতর আসাদ নামের এক কৃষককে মারধর করেন। এরপরেই যুবদল নেতা খোকন নামের এক আমেরিকপ্রবাসীর সমর্থকেরা প্রতিবাদ করেন। শুনেছি, পরে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বর বলেন, ‘বৃদ্ধ হামিদ চেয়ারম্যানকে সাহিদের লোকজন মারধর করেন। এরপর আমার সমর্থকেরাসহ গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেন। সংঘর্ষের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না।’

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক কারাগারে

র‍্যাবের পোশাকে ডাকাতির নাটক করে লাখ টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৬

কেরানীগঞ্জে সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কেরানীগঞ্জের মার্কেটের আগুন

আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি: ডিএমপি কমিশনার

মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে ইডেনের ছাত্রী

হাদিকে গুলি: সন্দেহভাজনের তথ্য চেয়ে পুরস্কার ঘোষণা ডিএমপির

কেরানীগঞ্জে মার্কেটে আগুন: জ্বলছে কোটি টাকার দোকান, নির্বাক তাকিয়ে সালাম-সোহেল

কেরানীগঞ্জে জাবালে নূর সুপার মার্কেটে আগুন, উদ্ধার ৪২