করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাবরিনার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে সাবরিনার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
সাবরিনা স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে আরিফের পক্ষে শুনানিও শেষ হয়েছে। পরে আদালত বাকি ছয় আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ২০ জুন তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারি, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী ধার্য তারিখে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলেই রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করা হবে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা, আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ২০ এপ্রিল এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।