মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুলের খালাসের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই হামলার প্রতিবাদ এবং ১৯৮৯ সালে শিবিরের হামলায় নিহত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতা জামিল আকতার রতনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, সমমনা রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা নাগরিক সংহতি সমাবেশ করেছেন।
আজ শনিবার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই নাগরিক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা জামিল আকতার রতনের প্রতিকৃতির সামনে সমবেত হয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী হিসেবে একজন চিহ্নিত ব্যক্তি কী করে নির্দোষ হিসেবে রায় ঘোষিত হয়? এটা আমাদের প্রশ্ন এবং এই প্রশ্ন আমাদের থাকবেই সব সময়। আশির দশকে আজকের এই দিনে জামিল আকতার রতনকে হত্যা করেছিল ছাত্রশিবির। আশির দশকে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে ছাত্রশিবির একটা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। সেই সময় বিভিন্ন জায়গায় হল দখল, জমি দখল—এই রকম নানা ঘটনা তারা ঘটিয়েছে, আপনারা জানেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮৯ সালে যখন ২২ সংগঠন এক হয়েছিল ছাত্রশিবির ছাড়া। তারা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এরশাদের বিরুদ্ধে। তাদের সাথেও সংঘাত হয়েছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল কর্মী কবীরকে খুন করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। তারপর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ বছর এই ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল ছাত্রশিবির।’
সমাবেশের আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সাঈদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলসহ ছাত্রজোটের অন্য নেতারা।