নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের পাশে নৌকার ক্যাম্পে মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। ভোটকেন্দ্রের পাশে সোনালী আঁশের ক্যাম্পে পাটি বিছিয়ে তিনজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে কেটলি মার্কা প্রতীকের ক্যাম্প থাকলেও সেখানে কোনো ভোটার ছিল না।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার সময় শীতলক্ষ্যা পাড়ের কেন্দ্রটিতে তুলনামূলক ভোটারদের উপস্থিতি বেশি চোখে পড়েছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আশাদুল ইসলাম বলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে ২৭৯৭ জন ভোটারদের মধ্যে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৯৮ ভোট পড়েছে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে অনেক মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। তারা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। ভোটারেরা নিজেদের ভোটার নম্বর খুঁজতে প্রার্থীদে ভোট ক্যাম্পে গিয়ে সহযোগিতা নিচ্ছেন। প্রার্থীদের ভোট ক্যাম্পগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ক্যাম্পে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ভোট ক্যাম্পে তিনজন কর্মীকে বসে থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে কেন্দ্রে পাশে বড় ক্যাম্প করা হলেও সেখানে কোনো ভোটার উপস্থিতি ছিল না।
সাতটা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২০ জন ভোটারকে স্লিপ ঠিক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে নৌকা আর কেটলি ছাড়া কারও নাম নেই।
তবে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন বলেন, নৌকার প্রার্থীরা প্রকাশ্যে ভোট দিলেও, কেটলির ভোট বোঝা যাচ্ছে না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন—জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদন চৌধুরী ট্রাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা ঈগল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান আলমারি, ইসলামী ফ্রন্ট থেকে একেএম শহীদুল ইসলাম চেয়ার, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে মোহাম্মদ জোবায়ের আলম ভূঁইয়া।