নরসিংদীর মনোহরদীতে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়। আজ রোববার সকালে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের হেতেমদী এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলায় দুই নেতার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজনের করে মনোহরদী উপজেলা বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশটি ডাকা হয়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনজুর এলাহি, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুর রহমান দোলন মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটিতে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কয়েক সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের দিকে এগোতে থাকে। বাঘবের নামক এলাকায় পৌঁছালে মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ, রাবার বুলেট ও শটগান থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে মিছিলটি সেখান থেকে হাফিজপুর সুনিয়া মঞ্জিল প্রাঙ্গণে ফিরে যায়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বিএনপির এই কর্মসূচিকে মনোহরদীতে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার কৌশল অবিহিত করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পূর্বেই অবস্থান নেয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ মনোহরদীকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। তাদেরকে এ সুযোগ দেওয়া হবে না।
এ নিয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করার করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’