নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে কর্ম ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, যে গতিতে কাজ হচ্ছে, সে গতিতে চললে আগামী শতাব্দীতে নারী-পুরুষের সমতা হবে। কাজেই এ গতিতে চলা যাবে না। আজ মঙ্গলবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এ দিবসটি থাকার ফলেই আজকে নারীরা তাদের মৌলিক দাবিগুলো উত্থাপন করতে পেরেছে, তাদের অধিকারের কথা বলতে পেরেছে।
নারীদের অধিকার আদায়ে পিছপা না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীদের যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নাই। কারও করুণা নিয়ে বেঁচে থাকা যাবে না। নারীর অধিকার নারীকেই আদায় করে নিতে হবে। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসলে দ্বিগুণ গতিতে আপনাদের জন্য এগিয়ে আসব।’
জাতীয় সংসদে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছুদিনের জন্য নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এখানে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, যে কোনো নারী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে-সে ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু পূর্ববর্তী কোনো সরকার এ ধরনের ব্যবস্থা তৈরি করে যায়নি। যা নারীদের জন্য দুঃখজনক।’
ফ্যাসিবাদে নারী-পুরুষ নাই-ফ্যাসিবাদ ফ্যাসিবাদই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ শুধু একজন ব্যক্তির কারণে গড়ে ওঠেনি বরং কাঠামোগত কারণে ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবেই একজন ব্যক্তি ফ্যাসিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘দেশে এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুরু হয়েছে খারাপ কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে। আর এসব ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে খারাপভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তা বিশ্বাস করার অনেক কারণ রয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে সমাজে এখনো নারীদের নিরাপত্তা দেওয়া যায়নি। সমাজে কিছু মানুষের পাশবিকতা, হিংস্রতা বর্ণনা বা নিন্দা করার ভাষা আমাদের জানা নাই।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বেগম শামছুন নাহার আহম্মেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন—অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সুফিয়ান, পরিচালক প্রশাসন মো. বয়জার রহমান, বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির সহকারী অধ্যাপক কাউসাইন মোবশ্বের, ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার, উপপরিচালক শারমিন সামাদ, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. তাহমিনা বেগম।