সাতদিনের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে সাধারণ দিনগুলোর মতই রাস্তায় বের হয়েছে মানুষ। গণপরিবহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবীরা। যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মটরসাইকেল চলছে। রাইড শেয়ার বন্ধ ধাকায় রিকশা ও অটোরিকশায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। গণপরিবহন বন্ধ করে অফিস-আদালত খোলা রাখায় সাধারণ মানুষ চরম ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন বলেন, লকডাউন দিলেও অফিস খোলা রয়েছে। সুতরাং অফিসে যেতেই হবে। গাড়ি বন্ধ থাকায় বাড়তি খরচ করে বাধ্য হয়ে রিকশায় যাচ্ছি।
গণপরিবহন না পেয়ে অনেকেই পিকআপ ভ্যানে করে ছুটছেন গন্তব্যস্থলে। ছোট্ট একটি পিকআপে গাদাগাদি করে উঠেছেন প্রায় ১৫-২০ জন। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির কোনো মানার কোনো বালাই নেই।
অনেক অফিস অবশ্য নিজস্ব গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। মালিবাগে কথা হয় গণমাধ্যমকর্মী নাহিদ সিরাজীর সঙ্গে । তিনি বলেন, অফিসের গাড়ির এসে নিয়ে যাওয়ার কথা। এ কারণে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি।
এ নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসার চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, অফিস ও কর্মস্থলগামী মানুষজন অবরোধ করেছিল। পরে আমরা তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী পরিচালনার পাশাপাশি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাসে বিস্তারে রোধে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: