শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ঢাকার শাহবাগে অবরোধ শুরু করেছে সংগঠনটি।
শাহবাগ অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শুধু অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
আজ রোববার বেলা ২টা থেকে সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের গতকাল শনিবার রাতে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন। এরপর তাঁরা শাহবাগ ছাড়েন।
পরে ইনকিলাব মঞ্চের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর রোববার দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
এর আগে, গত শুক্রবার দুপুর থেকে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম জানান, শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর সহযোগী আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়েছেন। তাঁদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন ভারতের দুই নাগরিক। মেঘালয় পুলিশ ওই দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে ডিএমপি জানায়।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।