চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের দুই এসআইসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই দুই এসআই হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস। তারা শাহ আলী থানায় কর্মরত ছিলেন। অপরজন পুলিশের সোর্স সুফিয়ান মোল্লা।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ১৯ ডিসেম্বর তিনজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বিকেলে তিনজনকে আদালতে হাজির করে শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলতাফ জামান পুলিশের দুই এসআইকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাদের সোর্স সুফিয়ান মোল্লার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অপহরণ ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। তাদের সোর্স এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় সুফিয়ান মোল্লার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করা প্রয়োজন। অন্যদিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
সুফিয়ান মোল্লা পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে এসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া সরকারি কর্মচারি পরিচয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি, আটক, মারধরের ও টাকা ছিনতাই এর অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদী শাহাদাৎ সরকার শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অভিযুক্ত দুই এসআই নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাদীর গতিরোধ করেন। তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান। মারধর করে নগদ টাকা এবং কার্ড থেকে জোরপূর্বক টাকা লুট করেন।