রাজধানীর গুলশানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পরিত্যক্ত বাড়ি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর নামে বরাদ্দ করা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্তের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং সালাম মুর্শেদীকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে হলফনামাসহ সব নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে সালাম মুর্শেদীর কাছ থেকে সরকারি পরিত্যক্ত বাড়ি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
জনস্বার্থে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। এছাড়া আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ব্যারিস্টার সুমন শুনানিতে বলেন, ‘গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়িটি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। রাজউক যোগসাজশ করে এটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীকে দিয়েছে। বাড়িটির আনুমানিক মূল্য কয়েক শত কোটি টাকা হতে পারে। সরকারি জমি রাজউক একজন ব্যক্তিকে দিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের মানুষ এ রকম কাজ করলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
আদালত বলেন, রাষ্ট্রের সম্পত্তি কীভাবে গেল? এ সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, রাজউক ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এখানে ফুটবল ফেডারেশনের কোন্দল থাকতে পারে। এখনই রুল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আদালত বলেন, রুল না দিলে শুনব কীভাবে? তারা ব্যাখ্যা দিক। যদি দেখা যায় লিজ দেওয়া হয়েছে তাহলে রুল খারিজ হবে। পরে আদালত সকল নথি দাখিলের নির্দেশনা দিয়ে রুল জারি করেন।
এর আগে গত রোববার (৩০ অক্টোবর) পরিত্যক্ত বাড়িটি দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এর আগে বিষয়টি তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। দুদক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করা হয় বলে জানান সুমন।