দেশে লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হয়। অন্যদিকে তুলার চাষ হয় মাত্র ২০ থেকে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি বছর গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করতে ৯ বিলিয়ন বেল তুলার প্রয়োজন হয়। এই তুলার মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয় আর বাকি তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ক্ষতিকারক তামাক উৎপাদন কমিয়ে তুলার উৎপাদন বাড়ালে দেশ অর্থনীতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত ‘৪র্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০২৩’-এ আলোচকেরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইতালি, ব্রাজিল, জার্মানিসহ ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বছরে আমাদের ৯ বিলিয়ন বেল কটনের (তুলা) দরকার হয়। সেই ৯ বিলিয়ন বেলের মধ্যে আমাদের নিজেদের উৎপাদন খুবই সামান্য। এটা মোট চাহিদার ১.৫ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এই সেক্টরে আমাদের নজর দিতেই হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে জমির সংকট রয়েছে, কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে জমি পড়ে আছে। জনবলের অভাবে অনেকে চাষ করে না। তাঁদের জমি ব্যবহার করে আমরা তুলা উৎপাদন করতে পারি কি না, এটা ভেবে দেখা যেতে পারে।’
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। গার্মেন্টসের উৎপাদন সচল রাখতে প্রচুর তুলার প্রয়োজন হয়। দেশে প্রণোদনা দিয়ে তুলা উৎপাদন বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন প্রমুখ।