হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সাভারে দুর্ঘটনায় আহতের চিকিৎসায় অবহেলা, মৃত্যুর পর পালাল হাসপাতালের কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

সাভার পৌর এলাকার সিটি ল্যাব হাসপাতাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার সাভারে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে হাফিজুর রহমান (৩৩) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার সিটি ল্যাব হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

হাফিজুর রহমান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি আশুলিয়ার নরসিংহপুরে থাকতেন।

হাফিজুরের চাচি জোহুরা বেগম বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় হাফিজুর গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। গতকাল মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে আশুলিয়ার বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা তাঁকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

হাফিজুরের চাচাতো বোন শামীমা আক্তার বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না হওয়ায় আমার পরামর্শে হাফিজুরকে গতকাল রাতেই সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে সিটি ল্যাব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের এক কর্মকর্তা আমার পূর্বপরিচিত। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে হাফিজুর মারা যায়।’

হাফিজুরের স্ত্রী মালা খাতুন বলেন, ‘সিটি ল্যাব হাসপাতালে যখন আমার স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওই হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না বলে শুনেছি। হাসপাতালের নার্স আর বয়রা আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেন। এই অবহেলার কারণে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।’

মালা খাতুন আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর পর বিষয়টি জরুরি সেবা ৯৯৯–এ জানানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আমার স্বামীর লাশ সাভার থানায় নিয়ে যায়।’

সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআাই) মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘৯৯৯–এর মাধ্যমে চিকিৎসকের অবহেলায় হাফিজুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে সিটি ল্যাব হাসপাতালে যাই। পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়ে দিই।’

এসআই মোতাছিম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি যখন হাসপাতালে যাই, তখন ওই হাসপাতালে শুধু কয়েকজন নার্স আর আয়া ছিলেন। চিকিৎসক আর কোনো কর্মকর্তাকে পাইনি।’

এদিকে আজ শনিবার সকালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাসপাতালে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

হাসপাতালের পাশের দোকানের কর্মচারীরা জানান, পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে যাওয়ার পরপরই নার্স ও আয়ারা ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় হাফিজুরের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা রুজু করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

ঢামেকে তরুণীর লাশ ফেলে পালালেন ‘স্বামী’

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

বড়দিন উপলক্ষ ২১টি গির্জায় আর্থিক প্রণোদনা দিল ডিএনসিসি

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার শেষ করার দাবি

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

রাজনীতিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে গালাগালিতে শত্রুরা উপকৃত হয়: ড. মাহবুব উল্লাহ

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৫ জন কারাগারে

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে