রাজধানীর আদাবর এলাকায় বাসায় ঢুকে রিপন (৩৫) নামের এক যুবককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। এর আগে আজ সকাল ৬টার দিকে আদাবরের ১০ নম্বর রোডের বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রিপনের স্ত্রী আরজু বেগম ও ছেলে মো. ইমন আহত হয়। তারা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
নিহত রিপনের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফুলকাচিয়া গ্রামে। বাবার নাম আবুল কালাম। তিনি আদাবরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। পেশায় চা বিক্রেতা।
রিপনের স্ত্রী আরজু বেগম জানান, তাঁরা আদাবর ১০ নম্বর রোডের বালুর মাঠ রহমান মিয়ার গলিতে টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকেন। বাসার পাশে রিপনের চায়ের দোকান রয়েছে। সকালে তাঁরা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে এলাকার বেল্টু মনির, তাঁর ভাই বাবু, জাহিদ, রাকিব, কুমির রুবেলসহ আরও কয়েকজন ঘরের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে রিপনের মাথায়, বুকেসহ কয়েক জায়গায় আঘাত করেন। ঠেকাতে গেলে তাঁকে ও ছেলে ইমনকে আঘাত করা হয়। এ সময় পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিল তাঁদের মেয়ে (১৪)। পরে রিপনকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
আরজু অভিযোগ করে বলেন, বেল্টু মনির ও তাঁর ভাই বাবু এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক কারবারি করেন। তাঁদের জন্য এলাকার মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারেন না। রিপন তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁরা কয়েকজন মিলে কুপিয়ে হত্যা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বলেন, সকালে মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে রিপন নামের যুবককে কুপিয়ে আহত করেন তাঁর প্রতিপক্ষরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে মারা যান রিপন। অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।