বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি সোহেল রোজারিওকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মহিউদ্দিন রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।
বিকেলে আসামিকে আদালতে হাজির করে সাভার থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এসআই মো. আ. ওয়াহাব তাঁর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় এর আগে গতকাল রোববার মিঠু বিশ্বাস নামের এক আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আদালতের সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. বাহাজ উদ্দিন রিমান্ডের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী সাভারে এক ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর পর বাসায় ফেরেন। কিন্তু এসে দেখেন, বাসা তালাবদ্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা-দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে তিনি দোকান থেকে চাবি নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে সোহেল রোজারিও ওই তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে অন্য দুই আসামির দেখা হয়।
এরপর তাঁরা ওই তরুণীকে অনুসরণ করতে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন আরও দুজন। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন সোহেল রোজারিও।
এ ঘটনায় ১৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় সোহেল রোজারিও, বিপ্লব রোজারিও ও মিঠু বিশ্বাসকে আসামি করা হয়।