‘নেতাজী ও বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বে নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর। নেতাজী আমাদের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধু বাঙালির মনে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটিয়েছেন। এ জন্য এই দুই নেতাকেই আমরা হৃদয়ে ধারণ করি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ‘মুক্তির অভিন্ন চেতনায় সম্প্রীতির ঐকতান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের আদর্শ মেনেই আমরা চলছি। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শে আমরা নেতাজীর জীবনাদর্শ দেখতে পাই। তার লেখনী, বাণীতেও আমরা নেতাজীর কথার প্রভাব দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নেতাজীর আদর্শ আমাদের পাথেয়।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, নেতাজী ভাবতেন অখণ্ড ভারতকে নিয়ে, আর বঙ্গবন্ধু ভাবতেন বাংলাদেশকে নিয়ে। তাঁরা দুজনই অসাম্প্রদায়িক একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানান, ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সকল প্রান্তে বঙ্গবন্ধু ও নেতাজীর ঐতিহাসিক জায়গাগুলো পরিদর্শন করা হবে। এরপর ৩০ শে মার্চ ভারতে নেতাজীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শেষ হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ, চ্যানেল আইয়ের সম্পাদক মুকিদ মজুমদার বাবু, ডা. মাহতাম আল স্বপ্নীলসহ অনলাইনে ভারত থেকে নেতাজী গবেষক ও বিশ্লেষকেরা উপস্থিত ছিলেন।