হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদ কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

শওকত মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি, সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিকেলে শওকত মাহমুদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক আক্তার মোর্শেদ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

গতকাল রোববার শওকত মাহমুদের বাসার সামনে থেকে তাঁকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ‘সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে যে মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেই মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী জানান, মামলার মূল নথি না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, শওকত মাহমুদসহ অজ্ঞাত আসামিরা এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জন-নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এবং উচ্চ পদস্থ লোকজন ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপনে সভা-সমাবেশ, পরামর্শ করেছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, অন্যান্য আসামির সঙ্গে যোগসাজশ করে শওকত মাহমুদ একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চান। এ জন্য তিনি কোন কোন দল বা সংগঠনের সঙ্গে গোপনে ‘সলাপরামর্শ করছেন’ সেসব তথ্য উদ্‌ঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে মিন্টো রোডে গাড়ি নিয়ে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমকে আটক করা হয়। তিনি পুলিশের কাছে নিজেকে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয় দিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।

মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি। ওই মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, এনায়েত করিম যাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তাঁদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কথিত বিদেশি এই গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সঙ্গে শওকত মাহমুদসহ জনতা পার্টি বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদেরও বৈঠকের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে এনায়েত করিম অনেক রাজনীতিকের সঙ্গে নেপাল, ভারত ও দুবাইয়ে বৈঠক করেন। অনেককে মন্ত্রী ও এমপি বানানোর আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকাও নেন। তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রটোকল ও সুবিধা নিতেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ওই দুজনের একজন বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।

শওকত মাহমুদ দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। তিনি একসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

হাসিনার রায় নিয়ে পোস্ট: ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহ রিমান্ডে

চলে গেলেন প্রবীণ সাংবাদিক মশিউর রহমান সেলিম

হত্যা মামলায় নাসা গ্রুপের নজরুল তিন দিনের রিমান্ডে

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ: তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

জুলাইয়ের অজ্ঞাতনামা শহীদ: কবর থেকে মরদেহ তুলে শনাক্তের কাজ শুরু

উদ্বোধন হলো কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া বাজার ‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

‘রোজা ও পূজা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’: শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, তদন্তে ডিবি

কেরানীগঞ্জে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেপ্তার