এডিসের লার্ভার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে আজ থেকে নগরভবনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। হঠাৎ অনির্ধারিতভাবে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নিজেই এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করা এবং উৎস নিধন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ঢুকে তদারকি করেন।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে মোট চব্বিশটি অভিযোগ আসে এবং সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন মেয়র।
আজ সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ভবনে পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ করে নগর ভবনে ফেরার পর সাড়ে দশটায় তিনি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ঢোকেন। এরপর তিনি সকাল থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আসা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চান। কর্তব্যরত কর্মকর্তারা মেয়রকে ১২টি অভিযোগের কথা জানান।
মেয়র তালিকা নিয়ে প্রথমে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার ইকবাল শান্তকে ফোন করেন এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পাস্তা ক্লাব নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা জন্য নির্দেশ দেন।
এরপর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হককে ফোন দিয়ে মিন্টু রোডের যে বাসাগুলোতে এডিস লার্ভা রয়েছে বলে তথ্য আসে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্রকে ফোন এবং প্রদত্ত ঠিকানা দিয়ে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেন।
তারপর মেয়র অন্যান্য অভিযোগগুলোর মধ্যে প্রতিটি অভিযোগের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান পরিচালনার করতে বলেন।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফেসবুক লাইভে এসে সেসব জায়গায় মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানান। কয়েকটি অভিযানে মশার লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা করা হয়।
দুপুর ১টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে মোট চব্বিশটি অভিযোগ আসে। সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেন মেয়র।