দিনভর সড়কে পণ্যবাহী যানের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন সড়কে চলতে দেখা যায়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকদিন দিনের বেলা সড়কে যানবাহন চলাচল কম থাকলেও রাতে দেখা দেয় যানজট। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন স্থানে যানজট ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় টঙ্গী পূর্ব থানার সামনে এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়ক পুরো ডুবে গেছে। এ ছাড়া নগরীর চেরাগআলী, বোর্ড বাজার, বাসন সড়ক, গাছা, টঙ্গীর মাছিমপুর, শিলমুন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, গাজীপুরমুখী মহাসড়কের টঙ্গী বাজার থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা দেয়। একই সাথে বড় বাড়ি, বোর্ড বাজার সড়কেও যানচলাচল ধীর গতি রয়েছে।
অন্যদিকে, মহাসড়কের অপরদিকে ঢাকামুখী লেনের বোর্ড বাজার থেকে বড় বাড়ি ও এরশাদ নগর থেকে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের স্টেশন রোড থেকে মীরের বাজার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা দেয়।
এ বিষয়ে মো. সাব্বির হোসেন নামে এক কারখানা শ্রমিক বলেন, গণপরিবহন না থাকায় বিকেল পাঁচটায় কারখানা ছুটির পর গাজীপুর থেকে অটোরিকশা করে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় এসেছি। এতে সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়েন তিনি।
একাধিক পণ্যবাহী গাড়ির চালকেরা বলেন, আমরা রাতে মালামাল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাই। রাতে সড়কে গণপরিবহন কম থাকে। এখন লকডাউন চলছে তবুও সড়কে যানজট।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশা চলছে। দিনে গাড়ির বাড়তি চাপ কিছুটা কম থাকলেও রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ একটু বাড়তি থাকে। তবে বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে পানি জমে যানবাহনে ধীর গতি দেখা দিয়েছে। এ সড়কে যানজট সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। রাস্তা সংস্কারে কাজ চলছে।