রাজধানীর মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের দাবি আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সবার নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাহিদ জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিক্ষোভরত পোশাকশ্রমিকদের কারখানায় ঢুকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে শ্রমিকেরা অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় ৯ জনকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও ১৩ জন আহত প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অন্য হাসপাতালে গেছেন।’
ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পোশাকশ্রমিক জরিনা বেগম বলেন, ‘আমরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করি। পাঁচ বছর ধরে আমাদের বেতন বাড়ে নাই। এখন বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছি। এর মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পির লোকজন এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর হামলা করে।’
আন্দোলনকারীরা মিরপুর ১১ মেট্রোরেল স্টেশনের আশপাশের এলাকায় দুইটি অসিম বাস ও একটি প্রজাপতি বাস ভাঙচুর করেছে। সে সময় প্রজাপতি বাসে অবস্থানরত চালক মো. আলাল আহত হন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের ছোড়া ইট এসে আমার মুখে লাগে। আমি বেশ আঘাত পেয়েছি।’ কথা বলার সময় তাঁর মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল।
এ দিকে বিক্ষোভ শুরু হলে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কালশী পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।