টিপ পরার কারণে লতা সমাদ্দারকে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তির হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)। একই সঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে হয়রানিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন থেকে নারী প্রগতি সংঘের সদস্যরা বলেন, গত শনিবার তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দারকে টিপ পরার কারণে পুলিশের পোশাক পরা একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তির হয়রানির ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক। তাঁরা বাংলাদেশের নারী সমাজের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং হয়রানিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বক্তারা বলেন, নারীদের স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্নিত করতে ধর্ম ব্যবসায়ী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই গোষ্ঠী প্রায়ই নারীর পোশাক নিয়ে জনসমক্ষে আপত্তিকর আচরণ করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংস ও যৌন আক্রমণ চালাচ্ছে। আমরা মনে করি, উল্লিখিত হয়রানিকারী পুলিশ বাহিনীতে ওই গোষ্ঠীরই প্রতিনিধিত্ব করছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, কোনো নাগরিক বা সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।