মাদারীপুরের শিবচরে চালকদের হত্যা করে অটোভ্যান ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে করে আতঙ্কে আছেন অন্য চালকেরা। তাঁরা সন্ধ্যার পর অপরিচিত যাত্রী ওঠাতে এবং বাইরের এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছেন। রাতে সাধারণত নিজেদের এলাকার মধ্যে থাকছেন।
শিবচর থানা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ২ এপ্রিল রাতে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের তালতলায় সাইদ মোল্লা (৭০) নামের এক চালককে গলা কেটে হত্যা করে ভ্যান ছিনিয়ে নেয় শওকত ঢালী নামের এক যুবক। পরে রক্ত লেগে থাকা ভ্যান নিয়ে পালানোর সময় তিনি আটক হন।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে কাদিরপুর ইউনিয়নে ভুট্টাখেত থেকে ভ্যানচালক মিজান গাজীর (২০) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব শত্রুতা এবং ভ্যান ছিনিয়ে নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা গেছে।
২৯ জানুয়ারি বাখরেরকান্দিতে রেললাইনের পাশে মুন্না মির্জা (৩০) নামের এক ভ্যানচালকের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি ২০ জানুয়ারি বিকেলে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি।
এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন উপজেলার চালকেরা। পাঁচ্চর এলাকার ভ্যানচালক মো. জুয়েল বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে ভ্যান চালাই, যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাই। এখন যাত্রীবেশে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। হত্যা করে ভ্যান ছিনিয়ে নিচ্ছে। এ ঘটনায় আমাদের পরিবার-পরিজন খুবই চিন্তিত। যতক্ষণ ভ্যান নিয়ে বাইরে থাকি তারা টেনশন করে। এখন যাত্রী নিয়ে দূরের পথে যেতে ভয় লাগে।’
আরেক ভ্যানচালক ইদ্রিছ শেখ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর এখন দূরে যাই না। বাড়ির আশপাশেই থাকি। কয়েক দিন আগে এক ভ্যান চালককে গলা কেটে হত্যা করে ভ্যান ছিনিয়ে নেয়।’
একই কথা বলেন উৎরাইল এলাকার ইজিবাইকের চালক মো. আহসান। তিনি বলেন, ‘ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে দূরে যেতে ভয় হয়। আর রাতে এলাকার বাইরে কোথাও যাই না।’
এ বিষয়ে কথা হলে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ঘটনাই সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করছি। এর আগে জড়িতদের গ্রেপ্তারও করেছি। সর্বশেষ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ওই লোকটি এখনো অসুস্থ। সুস্থ হলে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’