ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে অত অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আমাদের যোগ্যতা নেই। শিশুটি কোন স্টেশন থেকে উঠছে—এটা ধরতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট লেগেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে উত্তরা মেট্রোরেলের ডিপোতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গতকালের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমডি জানান, শনিবার রাতে মেট্রোরেলের ছাদে এক শিশুকে পাওয়া যায়। ভিডিও ফুটেজে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, ছেলেটি সম্ভবত কারওয়ান বাজার এলাকার কোনো স্থান থেকে ট্রেনে উঠে আগারগাঁও পর্যন্ত আসে। আগারগাঁও স্টেশনে সে ট্রেন বদলায়। স্বাভাবিক প্রবেশপথ ব্যবহার না করে দুটি কোচের মাঝের ফাঁক দিয়ে সে ওপরে উঠে পড়ে। সচিবালয় স্টেশনে পৌঁছানোর পর তাকে ছাদে দেখা গেলে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানান। বৈদ্যুতিক লাইনে সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। এ জন্য সবাইকে সচেতনভাবে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
ফারুক আহমেদ বলেন, শিশুটি ঠিক কোথা থেকে উঠেছে সেটি ভিডিওগুলো আরও বিশ্লেষণ করে আরও সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে। এটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রসঙ্গে এমডি বলেন, ধীরে ধীরে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিয়ারিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সেটি বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসার অপেক্ষায় তদন্ত কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ভূমিকম্পের পরে পুরোটাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কোথাও কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেস (কাঠামোগত বিচ্যুতি) হয়নি। তবে মেট্রোর ওয়াল কেন ফেটেছে সেটা আমি বলতে পারব না।’