পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৮ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আজ রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফয়েজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এর আগে এই মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ এ মামলায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষ্য দেন। তাঁর সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। তাঁরা কারাগারে।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানী মডেল টাউনের রোড নম্বর ২/৩, বাড়ি নম্বর-৫ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় খুন করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রাস্তার পাশে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। ১০ জুলাই কালীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বনানী থানায় ১০ জুলাই হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৯ সালে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
হত্যায় সহযোগিতার কারণে দুই কিশোরীর বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। এ দুজনের বিচার করার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এ দোষীপত্রটি পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে রয়েছেন। ২০২৩ সালে দুবাইতে অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০২৩ সালে একটি অস্ত্র মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার এক ট্রাইব্যুনাল।