কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন।
আইনজীবী মোহসীন বলেন, ওই ঘটনায় নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের দুই নেত্রীকে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিবস্ত্র করে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানি হবে বলে জানান আবেদনকারী। এর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন আদালত তাঁদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর ওপর নির্যাতন চালান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ সেখানে পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দল তাঁকে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নানাভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ এবং গালাগালও করা হয়। আর ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপর অভিযুক্ত তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের। আর ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের।