ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৮০০ টাকায় ৫০ এমবিপিএস নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
আজ শনিবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে টেলিকম বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা: আইএসপি শিল্পের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়।
কর্মশালায় আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘সরকার আইএসপি থেকে ৬০ শতাংশ রাজস্ব নেয়। সেই জায়গা থেকে সাশ্রয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমরা কম দামে ভালো ইন্টারনেট সেবা দিতে চাই। এ জন্য একটি ভালো নীতি দরকার।
‘আইএসপি ছাড়া সবার জন্য ফ্লোর ও সিলিং বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্ত আইএসপিদের শুধু সিলিং বেঁধে দিয়ে যুদ্ধে নামিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কম মূল্যে সবচেয়ে ভালো ইন্টারনেট সেবা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এটা সস্তা রাজনীতির পর্যায়ে পড়েছে। সরকার ছাড় না দিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারবে না।’
প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালার সমালোচনা করে আমিনুল হাকিম বলেন, এই নীতিমালা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নীতিগত সংকট সৃষ্টি করেছে।
কর্মশালায় আইএসপিএবি নেতারা আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—আইএসপিদের ফ্লোর ও সিলিং প্রাইস নির্ধারণ করা, অ্যাকটিভ শেয়ারিং চালু করা, লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি আইএসপির কাছে থাকা, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) সার্ভিস চার্জ এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রেভিনিউ শেয়ার তুলে দেওয়া।