ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে সাদা অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় রিপা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢামেকের পুরোনো ভবনের ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ড থেকে ওই তরুণীকে আটক করে দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্যরা। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ডিউটিরত নারী আনসার সদস্য লুৎফা আক্তার জানান, রিপা নামে ওই তরুণী সাদা অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় ওয়ার্ডের ভেতরে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সন্দেহ হলে তাঁর কাছে হাসপাতালে আসার কারণ ও পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি কোনো উপযুক্ত কারণ ও পরিচয় দিতে পারেননি। পরে বিষয়টি হাসপাতালের আনসার কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। পরে ওই তরুণীকে আটক করে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক ওই তরুণী হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, মামুন নামে তাঁর এক বন্ধুর মাকে দেখতে হাসপাতালে এসেছেন তিনি। অ্যাপ্রোন পরে কেন এসেছেন—জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা পরে হাসপাতালে আসাটা চরম ভুল হয়েছে।’ অ্যাপ্রোন কোথায় পেয়েছেন জিজ্ঞেস করলে ওই তরুণী একবার বলেন, বন্ধু মামুন তাঁকে দিয়েছেন। আরেকবার বলেন, নিউমার্কেট থেকে নিজেই কিনেছেন।
ওই তরুণী কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন বলে দাবি করেন এবং হাজারীবাগ সেকশন ঢাল এলাকায় একটি বাসায় থাকেন।
হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘ওই নারীকে আটকের পরপরই এক এক সময় এক এক কথা বলে। একবার বলে নিউমার্কেটে থাকে। আরেকবার বলে হাজারীবাগ এলাকায় থাকে। তবে ওই তরুণীকে আটকের পর সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়নি।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অ্যাপ্রোন পরা ওই তরুণীকে ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেননি। কিন্তু অ্যাপ্রোন পরে লেবার ওয়ার্ডে তাঁর ঘোরাঘুরি সন্দেহজনক। কারণ কিছুদিন আগে ওই লেবার ওয়ার্ড থেকেই একটি নবজাতক চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীকে আমরা পুলিশে দিয়েছি। বিস্তারিত পুলিশ খুঁজে বের করবে। এই ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাসপাতাল থেকে যত রকম সহযোগিতা করা দরকার আমরা তাই করব।’