পুলিশের সরকারি কাজে বাধা, যানবাহনে আগুন দেওয়াসহ নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন—মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হানিফ, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন বাবু ও মো. আলমগীর বিশ্বাস।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হানিফকে দণ্ডবিধির দুই ধারায় এক বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এম এ কাইয়ুম, এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন বাবু ও মো. আলমগীর বিশ্বাসকে দণ্ডবিধির দুই ধারায় তিন বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জনি খন্দকার। তিনি জানান, আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ১১ জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গত রোববার আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি তর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ৫ নভেম্বর টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।