জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অন্তর্কলহে বটতলার দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের দোকান এলাকা বটতলায় ভাঙচুর চালায় একটি পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী খালিদ হোসেনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। এ সময় ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাপালি মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। তাঁকে কয়েকবার সরে যেতে বললেও তিনি সরেননি। পরে খেলা চলাকালে বলের পিছে ছুটতে গিয়ে খালিদ কাপালির গায়ের ওপরে পড়েন। এ সময় কাপালি খালিদকে চড় মারেন। পরে সেখানে ভাসানী হলের নিবিড়, সাজ ও হিমু উপস্থিত হন। তাঁরা খালিদকে জোরপূর্বক বাইকে তুলে হলে নিয়ে যেতে চান। এ সময় মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজীব এসে বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর দুই হলের সিনিয়ররা এসে বিষয়টা মিটমাট করেন।
ঘটনার জেরে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাসানী চত্বরে এসে দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এ সময় ভর্তিইচ্ছু এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘যেহেতু এটা ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যকার সমস্যা, তাই এটা নিজেরাই সমাধান করতে চেয়েছে। এখনো আমরা অভিযোগপত্র না পাওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে।’