যেসব পাট, চিনি, সুতা ও বস্ত্রকল বন্ধ হয়ে গেছে এবং যেসব কল-কারখানার রাষ্ট্রীয় মালিকানা বাদ দেওয়া হয়েছে। সেসব কল-কারখানা পুনরায় রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ফেরত আনা ও বন্ধ কল-কারখানাগুলো চালু করে শ্রমিকদের ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি দিয়েছে আটটি ট্রেড ইউনিয়নের নতুন গঠিত শ্রমিক জোট’ জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের বুক চাপা কান্না আর অসহায় দীর্ঘশ্বাসে আজ বাতাস ভারী। দুনিয়ার সর্বত্র শ্রমিকের ওপর চলছে জুলুম-নির্যাতন, চলছে ব্যাপক শ্রমিক ছাঁটাই। সর্বোচ্চ মুনাফা লোটার বুলডোজারের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে শ্রমিকের জীবন। আর যাবতীয় শ্রম আইন দু’পায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে মালিকেরা। ন্যূনতম মজুরের কোনো নিম্নসীমা নেই। নেই শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি পাওয়ার রক্ষাকবচের আইন। ফলে বেকার শ্রমিকের পাল্লা যত বাড়ে, ততই কমে মজুরির হার।’
দাবি আদায় না হলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সারা দেশের কল-কারখানাগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা উল্লেখ করে জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশে সমস্ত জেলা-উপজেলা-শিল্পাঞ্চল-কারখানায় গেট মিটিং, কর্মীসভা, সমাবেশ, মিছিল, পদযাত্রার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে একই সঙ্গে সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট-অবরোধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে ১১ দফা দাবিসহ স্মারকলিপি দিতে সংগঠনটি মিছিল নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে যায়।