বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তাদের তো বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ থাকতে পারে না। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখেই এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যে আদালতের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। এরপর এপ্রিল মাস থেকে যতবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের, নেতারা কিন্তু এই আলোচনাগুলো রেখেছেন। কাজেই আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই রাজনীতি করবে। কোনো ফ্যাসিবাদতন্ত্র বা মাফিয়াতন্ত্র দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।’ আজ বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও শিক্ষার মানোন্নয়ন–বিষয়ক মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে আহমেদ আযম খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের ধারাবাহিক যে বক্তব্য, আমাদের সুচিন্তিত যে বক্তব্য, সেটাই আমাদের কথা। মানুষের আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতিই হলো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। স্বাধীন সংসদ ও নির্বাচিত সরকার—এ নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই কথা বলে আসছি।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বিএনপির সাত লাখ নেতা–কর্মী হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়েছি। হাজার হাজার নেতা–কর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা–কর্মী খুন হয়েছে, অবাধ ও নিরপক্ষে নির্বাচনের আন্দোলনের জন্য। কাজেই আমাদের বক্তব্য এখনও পরিষ্কার। আমরা আশা করব, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো শেষ করে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। আমরা অতিদ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই। গণতন্ত্রে ফিরতে পারলেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি মীর মনিরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু প্রমুখ।