নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলচালকসহ নারী আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ওই নারীকে পথচারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাবিহা চৌধুরী (৩৭) ও সহকর্মী চালক জাহাঙ্গীর হোসেন মিলন। এ ঘটনায় সাবিহার ছেলে সিফাত চৌধুরী (১১) আহত হয়েছে।
হাসপাতালে পথচারী মো. মিন্টু মিয়া বলেন, বিকেল ৪টার দিকে তারাব বিশ্বরোড ডেমরা ব্রিজের কাছে মোটরসাইকেলটি যাচ্ছিল। এ সময় গাউছিয়া পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে চালক ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত নারী ও শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে ওই নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে সাবিহার পরিবার। সাবিহার খালা রাশেদা আক্তার বলেন, সাবিহার বাড়ি রূপগঞ্জ বরাব কামালনগর এলাকায়। তাঁর বাবার নাম শাজাহান চৌধুরী। সাবিহা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারীর চাকরি করতেন। বর্তমানে থাকতেন মতিঝিল এজিবি কলোনিতে। সাবিহার দুই ছেলে তাদের নানির কাছে থাকে।
রাশেদা আক্তার আরও বলেন, ‘আজ অফিস বন্ধ থাকায় তার বাবার বাড়িতে গিয়েছিল সাবিহা। সেখান থেকে সাবিহা অফিস কলিগ ও ছেলে সিফাতকে নিয়ে জায়গা ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল। তার অফিস কলিগের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন মিলন। জানতে পেরেছি সে ঘটনাস্থলে মারা গেছে। আহত সিফাত বরাব একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। আহত শিশুটির মাথায় আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া বাম পা ভেঙে গেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।