বাংলাদেশের ৪০ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন বলে জানিয়েছেন ডা. মো. রাশিদুল হক। তিনি বলেন, দেশি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের ৪০ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপেও একাধিকবার এটা প্রমাণিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার হোমিওপ্যাথিক দিবস ২০২৫ ও এই চিকিৎসার জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। পুরানা পল্টনে গ্র্যান্ড আজাদ সেন্টারে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।
সেমিনারের আয়োজক ডা. রাশিদুল হক আরও বলেন, হোমিওপ্যাথি একটা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা। সব বয়সের ও সব রোগের জন্যই এটা উপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা। মানুষ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের খুব সহজেই কাছে পাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ স্বল্পমূল্যে থাকার কারণে মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করছে।
সেমিনারে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব সেন্টার ও জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাজ করার পথ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা।
বক্তারা বলেন, বিকল্প ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। ১৭৯৬ সালে এর উদ্ভাবন করেন ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। রোগীকে অল্প ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র।
তাঁরা আরও বলেন, চিকিৎসকদের মধ্যে পেশাগত অহমিকা, লোভ, হিংসা এবং মাল্টিন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানিগুলোর হোমিওপ্যাথিকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী মনে করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেন। বর্তমানেও এর ধারাবাহিকতা দৃশ্যমান রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।