পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলায় আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।
আজ যিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি হলেন জিয়াউর রহমান। তিনি আরাভ খানের বাসার নিরাপত্তারক্ষী। আরাভ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তিনি আদালতকে দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত হোসেন জানান, আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীও ওই সাক্ষীকে জেরা করেন। এরপর বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২১ মার্চ এ মামলায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষ্য দেন। এরপর এ পর্যন্ত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। কারাগার থেকে ৬ আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাঁদেরকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। তাঁরা কারাগারে আছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে রাজধানী বনানী মডেল টাউনের রোড নম্বর ২ /৩ বাড়ি নম্বর ৫ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় খুন করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রাস্তার পাশে ঝাড়ের মধ্যে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখেন। ১০ জুলাই কালিগঞ্জ থানা–পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বনানী থানায় ওই দিনই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৯ সালে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। হত্যায় সহযোগিতার কারণে আইনের সংস্পর্শে আসা কিশোরী মেহেরুন্নিসা স্বর্ণা ও ফারিয়া বিনতে মিমের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। এই দুজনের বিচার করার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭–এ দোষীপত্রটি পাঠানো হয়।
রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। সম্প্রতি অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। সম্প্রতি একটি অস্ত্র মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।