সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে রাজু শহীদ হয়েছিলেন, অথচ আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে দিন দিন। সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের যে স্বপ্ন শহীদ রাজু দেখেছিলেন, আজও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ রাজু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেছেন।
এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে ছাত্র ইউনিয়ন, রাজু সংসদ, প্রগতিশীল ছাত্র জোট ছাড়াও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে রাজু শহীদ হয়েছিলেন, অথচ আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি, বরং সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে দিনদিন। সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের যে স্বপ্ন শহীদ রাজু দেখেছিলেন, আমরা আজও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করছি।’
এ সময় বক্তারা শহীদ রাজুর দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি মোতালেব হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার।
১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্র ইউনিয়ন। মিছিলে সন্ত্রাসীদের চালানো গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য মঈন হোসেন রাজু। এরপর থেকে দিনটি ‘রাজু দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।