জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর। আর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। শুরুতে জয়নাল আবেদীন আট সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। তিনি বলেন, সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রস্তুতির জন্য সময় প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বারবার সময় নিচ্ছেন কেন? এখানে সময় নেবেন আর অন্য কোর্টে মামলা করবেন, তা তো হতে পারে না। আমরা সবই দেখতে পাই।’
ব্যারিস্টার তানিয়া আমির বলেন, ‘তারা আদালত থেকে সময় নিয়ে যায়। আর তলে তলে মিটিং-মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে। একটি বৈধ দলের মতো সব কর্মসূচি পালন করছে।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘অপেক্ষা করুন আমরা সব দেখব, আদালতের হাত অনেক লম্বা। এরপর আর সময় দেওয়া হবে না।’
আদালত থেকে বের হয়ে তানিয়া আমির বলেন, ‘আমাদের দুটি আবেদন। একটি নিষেধাজ্ঞার, অপরটির আদালত অবমাননার। আদালত অবমাননার ঘটনায় আমরা জামায়াতের বর্তমান নেতাদের বিবাদী করে যে আবেদন করেছিলাম—সেটি আদালত মঞ্জুর করেছেন।’
জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আপিলটি চলতি বছর শুনানির উদ্যোগ নেয় রিটকারী পক্ষ।