ঢাকার ধামরাইয়ে ভুট্টাখেত থেকে মমতাজ বেগম (৩৩) নামের এক গার্মেন্টসকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শরীফ (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৪-এর সাভার (নবীনগর) ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। গতকাল সোমবার রাজধানীর কালশী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শরীফ পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার কাচারীকান্দি পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা। তবে ২০ বছর ধরে ঢাকায় বাস করছেন তিনি। মমতাজ বেগমও একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন ৷
রাকিব মাহমুদ খান আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার আগের দিন গত ৭ জানুয়ারি ধামরাইয়ের কেলিয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের এলাকায় মমতাজকে নিয়ে ঘুরতে যান শরীফ। ঘুরতে ঘুরতে তাঁরা একটি ভুট্টাখেতের দিকে যান। সেখানে সঙ্গে থাকা রশি দিয়ে প্রথমে মমতাজের গলায় পেঁচিয়ে ধরেন শরীফ। চেঁচামেচি যেন করতে না পারেন সে জন্য পরনের ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে মমতাজকে হত্যা করেন। এরপর মমতাজের ব্যবহৃত মোবাইলটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএনবি এলাকায় ফেলে চলে যান।
গত ৯ জানুয়ারি বেলা তিনটার দিকে ধামরাইয়ের কেলিয়া এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশের একটি ভুট্টাখেত থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মমতাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই ধামরাই থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটা হত্যা মামলা করে।