হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সাভারের সেই সেফ লাইন পরিবহনের বাস চালক মারা গেছেন

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক সেফ লাইন পরিবহনের বাস চালক মারা গেছেন। গতকাল রোববার সকালে সাভারে দুর্ঘটনার পরপরই তাঁকে নিয়ে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। 

আজ সোমবার রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজধানীর শেরে বাংলা থানার এসআই পলাশ চৌধুরী। তিনি বলেন, রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আহত অবস্থায় একজনের মারা গেছেন। এই খবরে হাসপাতালে গিয়ে নিহতের তথ্য সংগ্রহ করে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। নিহতের নাম মারুফ হোসেন মুন্না (২৪)। তিনি চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তাফা কামালের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। মিরপুর দারুস সালামের লালকুটি এলাকায় বসবাস করত। 

এ বিষয়ে নিহতের দুলাভাই সৌরভ মিয়া বলেন, ‘মারুফ হোসেন মুন্না সেইফ লাইন পরিবহনের বাস চালক ছিলেন। তাঁর বয়স ২৪ বছর। সাভারের বলিয়ারপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। জানতে পারি হাসপাতালে ভর্তির আগেই সে মারা যায়। পরে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার রাতে তাঁর মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর রওনা হয়েছি। গত চার বছর ধরে গাড়ি চালায় মুন্না।’ 

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার মোস্তাফা বলেন, ‘সেইফ লাইন পরিবহনের সেই বাসের চালক মারুফ হোসেন মুন্না মারা গেছেন। আজ সোমবার রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। বাসের মালিকের নাম ইকবাল। তবে মালিকের বিস্তারিত পরিচয় পাইনি।’ 

মোস্তফা আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বাসটি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা রোডে চলাচল করে। স্থানীয়দের মতে বাসটি সেদিন রাতে কুষ্টিয়া থেকে রওনা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটিতে দুই থেকে চারজন যাত্রী ছিল। কিন্তু তাঁদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। যেহেতু মামলার আসামি মারা গেছে, ফলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

প্রসঙ্গত গতকাল রোববার (০৫ জুন) সাভারের বলিয়ারপুরে সেফলাইন বাসের ধাক্কায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসের চালক, দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আরেক প্রকৌশলী নিহত হন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় ঘাতক বাসের অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে সাভার হাইওয়ে থানার এএসআই ফজলুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঘাতক বাসের চালক মারুফ।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির