ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি ঘোড়া তেড়ে গিয়ে লোকজনকে আঘাত করার খবর পাওয়া গেছে। ঘোড়ার কামড় ও লাথিতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গত দুদিন ধরে ঘোড়াটি এমন আচরণ করছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে এমন দৃশ্য। তবে ঘোড়ার মালিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি ঘটে আজ রোববার সকালে উপজেলা সদরের কলেজ রোড ও চৌরাস্তা এলাকায়।
সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়ার কামড়ে আহত পৌর সদরের বাসিন্দা কাজী হাসান ফিরোজ (৬০), আতাউর রহমান (৫৫), মো সিদ্দিক (৪৫), শহিদুল (২৫), মনিরা বেগম (৩৬) ও আলেয়া বেগম (৩৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদের প্রাথমিকভাবে নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া অনেকে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। তখনই ঘোড়াটি দৌড়ে এসে কামড় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফেলে দেয়। ওই ব্যক্তির ডাক-চিৎকার শুনে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কাজী হাসান ফিরোজ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘সকালে হাঁটার জন্য রেলস্টেশনে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে চৌরাস্তায় পৌঁছালে একটি পাগলা ঘোড়া দৌড়ে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছনে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক লোকজন এসে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে এখন বাড়িতে আছি। তবে আক্রান্ত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছে। আমার জানামতে, আজ সকালে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও পৌরসভার আঁধারকোঠা মহল্লার বাসিন্দা মো. নিজাম উদ্দিন খান বলেন, পাগলা ঘোড়াটি সামনে যাকে পাচ্ছে, তাকেই কামড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘোড়াটিকে কোনো পাগলা কুকুর কামড়ানোর পর ঘোড়াটিও পাগলের মতো আচরণ করছে আর সামনে কাউকে পেলে কামড়াচ্ছে এবং লাথি মারছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোর্শেদ আলম বলেন, সকালে ঘোড়ার কামড়ে আহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। আহত ব্যক্তিদের ব্যথানাশক ওষুধ ও টিটেনাস ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, ঘোড়াটিকে কোনো পাগলা কুকুর কামড়িয়েছে। যার কারণে ঘোড়াটি এমন আচরণ করছে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটি জানার পরেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। তাঁরা পৌরসভার সহযোগিতায় ঘোড়াটিকে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ঘোড়াটিকে অজ্ঞান করে চিকিৎসা দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে যা যা করার দরকার, সহযোগিতা করা হবে।