চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের মাতামুহুরী সেতু এলাকায় সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়কের চকরিয়া অংশে এই অবরোধ চলছে। এতে ছাত্রশিবির, বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন আন্দোলনের চকরিয়া অংশের প্রধান সমন্বয়কারী ইব্রাহিম ফারুক ছিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতি মাসে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন আগে একই পরিবারের পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। এসব কারণে নাগরিকদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালন করছি।’
ইব্রাহিম ফারুক ছিদ্দিকী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পরীক্ষার্থী ও জরুরি সরকারি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে আগেও মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।
চকরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সায়েদ হাসান বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিদিন লাখের বেশি যানবাহন চলাচল করে। অসংখ্য বাঁকের কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকার জানিয়েছে, উন্নয়ন প্রকল্পের সমীক্ষা চলছে। দ্রুত প্রকল্পের ঘোষণা না এলে আন্দোলন চলবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মাতামুহুরী সেতু এলাকায় নানান ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান, চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাশ, চকরিয়া থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) তৌহিদুল আনোয়ারসহ পুলিশের বিভিন্ন দল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছে। আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সড়ক না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অটল।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’