চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আরও ২০ থেকে ৩০ জন ছাত্রলীগ কর্মী। চমেকের পূর্ব গেট থেকে ইমারজেন্সি পর্যন্ত দুপাশে দাঁড়িয়ে মধ্যে খানে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার অ্যাম্বুলেন্সে আহত আসলেই নামিয়ে স্ট্রেচারে করে ওয়ার্ড পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন।
শুধু কী তাঁরা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও কেউ কেউ নার্সের ভূমিকা পালন করছেন। এই যেমন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আলী তানভির। তিনি চমেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসকের সঙ্গে নার্সের ভূমিকা পালন করছেন। আবার কেউ কেউ আহতদের জন্য রক্তের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরাও রক্ত দিয়ে আহতদের জীবন বাঁচাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী আরশেদুল আলম বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে যেভাবে পারছেন আহতদের সাহায্য করছেন। কেউ রক্ত দিয়ে আর কেউ স্বেচ্ছাসেবক হয়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করে সব ধরনের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করবো।
এদিকে চট্টগ্রাম শহরের সব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও চমেকে যোগ দিয়েছেন। আহতদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘আজকে রাতে সব চিকিৎসকই চমেকে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন।’